Wellcome to National Portal
জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি (এনএপিডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রশিক্ষণ কার্যক্রম


ভূমিকাঃ
     
জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে সামনে রেখে প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে নতুন বছরের জন্য প্রশিক্ষণ বর্ষপঞ্জি প্রণয়ন করে থাকে। প্রশিক্ষণ বর্ষপঞ্জি প্রণয়নের প্রাক্কালে অনুষদ সদস্যগণের সভায় বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই সভায় আলোচিত বিভিন্ন কোর্সের মূল্যায়ন তথ্য, অনুষদ সদস্যদের কোর্স পরিচালনা সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যত প্রশিক্ষণের রূপরেখা  প্রণয়ন করা হয়। সময়ের চাহিদাকে প্রধান্য দিয়ে কোর্সের বিষয়বস্ত্ত, পদ্ধতি, মেয়াদ ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা করা হয়। কোর্স কর্মসূচিকে যুগোপযোগী রাখার জন্য প্রতি বছর নতুন কোর্স  বর্ষপঞ্জিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একাডেমির বোর্ড অব গভর্নরস্ কর্তৃক অনুমোদিত বর্ষপঞ্জি অর্থ বছরের শুরুতে বিভিন্ন সরকারী/আধা-সরকারী, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, এনজিও, কর্পোরেট ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। এছাড়া কোর্স শুরুর পূর্বে প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রতিটি কোর্সের জন্য প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন চেয়ে পত্র পাঠানো হয়। বর্ষপঞ্জিতে এবং মনোনয়ন পত্রে প্রতিটি কোর্সের বিস্তারিত বিবরণ থাকে বিধায় মনোনয়ন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের জন্য প্রয়োজনীয় কোর্সটি সহজেই বেছে নিতে পারে।

 

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমঃ

 

প্রশিক্ষণ প্রদান করা একাডেমির অন্যতম প্রধান কাজ। একাডেমি সাধারণত তিন ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। 


(ক) নিয়মিত (দিবা)  কোর্স  

(খ) সান্ধ্যকালীন (নৈশ)  কোর্স ও 

(গ) অনুরোধ কোর্স (বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অনুরোধের ভিত্তিতে আয়োজন করা হয়)। 

 

জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি (এনএপিডি) এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম

 

একাডেমি ১৯৮১ সাল থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত  ১৫৬৯ টি কোর্স আয়োজনের মাধ্যমে মোট ৪৩,১৭৮ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে (সারণী - ০২)। এখানে উল্লেখ্য যে, একাডেমি বিগত ০৫ বছরে গড়ে ২১,৫১ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। সুতরাং নির্দ্বিধায় বলা যায়, একাডেমি যে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা সুষ্ঠু ও সফলভাবে অর্জিত হচ্ছে। 

 

সারণী ২ঃ একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ১৯৮১-২০২০ মেয়াদের  প্রশিক্ষণ তথ্য

 

বছর

কোর্সের সংখ্যা

প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা

১৯৮১

৩৮

১৯৮২

১৭২

১৯৮৩

১৯

৪৩০

১৯৮৪

২৩

৫৫১

১৯৮৫

১২

২২৭

১৯৮৬

৪৪

১০৮৪

১৯৮৭

২১

৪৮৯

১৯৮৮

২৯

৬৮৫

১৯৮৯

২৪

৫২৯

১৯৯০

২৯

৪৫৮

১৯৯১

৩২

৬৮২

১৯৯২

৩২

৮৭৮

১৯৯৩

৩০

৮৬৩

১৯৯৪

১১

৩৫৬

১৯৯৫

১৭

৪৭৫

১৯৯৬

২১

৫৫৮

১৯৯৭

২৭

৫৪১

১৯৯৮

৪৭

১০২৬

১৯৯৯

৪২

১০৬৮

২০০০

৩৮

৮৯১

২০০১

৩১

৬৮২

২০০২

২৩

৫৭৭

২০০৩

২০

৫২৩

২০০৪

৩১

৬৮৫

২০০৫

৪২

১১৮৩

২০০৬

২৯

৬১৪

২০০৭

৩১

৭৩২

২০০৮

৪২

১০৫৫

জানুয়ারি - জুন ২০০৯

৪০

১০১৬

২০০৯-২০১০

৫১

১৫৯৬

২০১০-২০১১

৫৫

১৬২২

২০১১-২০১২

৬০

১৬৬৪

২০১২-২০১৩

৬৬

২০৮১

২০১৩-২০১৪

৯৯

২৬৬৯

২০১৪-২০১৫ ১০৬ ৩৭১৯
২০১৫-২০১৬ ৮০ ২৫৭৬
২০১৬-২০১৭ ৬৬ ২৪০৫
২০১৭-২০১৮ ৬২ ১৯৭৯
২০১৮-২০১৯ ৭৪ ২০৯৪
২০১৯-২০২০ ৫৪ ১৭০৫

মোট =

১৫৬৯

৪৩,১৭৮

 

 

প্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষ থেকেই একাডেমির উপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে পালিত হয়ে আসছে। ফলশ্রুতিতে ১৯৮১ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে একাডেমিতে আয়োজিত কোর্সের সংখ্যা (লেখচিত্র - ০১) এবং প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা (লেখচিত্র - ০২) বৃদ্ধি পেয়েছে। 

 

লেখচিত্র-১ (ক): ১৯৮১ - ২০০০ পর্যন্ত একাডেমিতে আয়োজিত কোর্সের সংখ্যা ।

 

লেখচিত্র-১ (খ): ২০০১ - জুন, ২০১৪ পর্যন্ত একাডেমিতে আয়োজিত কোর্সের সংখ্যা ।

 

লেখচিত্র-২ (ক): ১৯৮১ - ২০০০ সালে একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা ।

 

লেখচিত্র-২ (খ): ২০০১ - জুন, ২০১৪ সালে একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা ।

 

 

প্রশিক্ষণ মূল্যায়নঃ


প্রশিক্ষণ মূল্যায়ন বলতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচী এবং প্রশিক্ষণার্থী উভয়য়ের মূল্যায়নকে বুঝানো হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচীকে একাডেমিতে দু’ভাবে মূল্যায়ন করা হয়। একটি অধিবেশন ভিত্তিক, বক্তা ও বিষয়ের কার্যকারিতা যাচাইকল্পে মূল্যায়ন, যা প্রতিদিন ক্লাশ শেষে নির্ধারিত ছকে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া কোর্স সমাপ্তিলগ্নে কোর্সের সার্বিক বিষয় নিয়ে মৌখিক ও নির্ধারিত ছকে লিখিত মতামত গ্রহণ করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের লিখিত ও মৌখিক মতামত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে সর্বদা পরবর্তী কোর্সগুলোর গুণগত মান বৃদ্ধিকল্পে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

 

প্রশিক্ষণার্থীর মূল্যায়নে দু’ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলোতে শুধুমাত্র সময় ব্যবস্থা, আচরণ ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় থাকে। তবে এখানে সনদপত্রের সাথে কোন নম্বরপত্র দেয়া হয় না। দীর্ঘমেয়াদী কোর্স যেমন-বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ, বিভাগীয় প্রশিক্ষণ, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন পরিকল্পনায় ডিপ্লোমা, প্রকল্প পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কোর্সে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্রের সাথে নম্বরপত্রও দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ০২ মাস মেয়াদী বুনিয়াদি, বিভাগীয় প্রশিক্ষণ, বৎসরব্যাপী অনুষ্ঠিত ডিপেস্নামা কোর্সের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীদের মহাপরিচালক এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। শুধু তা নয়, মহাপরিচালক এওয়ার্ডের সাথে ’’সার্টিফিকেট অব এক্সিলেন্স’’ও প্রদান করা হয়।

 

একাডেমির প্রাতিষ্ঠানিক সদস্য পদঃ

 

একাডেমি প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সংশিস্নষ্ট বেশ কয়টি দেশী ও আমত্মর্জাতিক সমিতির সদস্যঃ

 

  • Bangladesh Society for Training and Development (BSTD) – Bangladesh;
  • Association for Management Development Institute (AMDIB) – Bangladesh;
  • Assocaiton for Management Development Institute in South Asia (AMDISA) – Hydrabad, India.